Wednesday, October 24, 2018

thumbnail

দ্রুত চুল লম্বা করার উপায় | Druto Chul Lomba Korar Upay

  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে ৩০ মিনিট চুল ঢেকে রাখুন। এরপর হাল্কা শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ

দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ কিংবা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধিতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের জন্য খুব ভালো কন্ডিশনার। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন।                  এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো                ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার                    করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।
সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।

Monday, October 22, 2018

thumbnail

চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করুন প্রাকৃতিক উপায়ে


চোখের পাপড়ি ঘন ও একটু বড় হলে পুরো চোখের আকারই বদলে যায়। আমরা কেউ কেউ মেকআপের মাধ্যমে চোখের পাপড়ি বড় করে থাকি। আবার কেউ কেউ মোটা করে মাশকারা ব্যবহার করেন। অনেকে আবার ফলস আইল্যাশ লাগান। ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপায়ে খুব সহজেই চোখের পাপড়ির আকার বড় করে নেওয়া সম্ভব। ব্যাপারটি একেবারেই কঠিন কিছু না। আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে চোখের পাপড়ি বড় ও ঘন করবেন প্রাকৃতিক উপায়ে।
ক্যাস্টর অয়েল :
বাজার থেকে সব থেকে ভালো ব্র্যান্ডের প্রাকৃতিক ক্যাস্টর অয়েল কিনে নিন। যেহেতু চোখের ব্যাপার তাই খারাপ জিনিস না কেনাই ভালো। এবার প্রতিরাতে ভালো করে মেকআপ পরিষ্কার করে, মুখ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ঘুমুতে যাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে অল্প পরিমাণে ক্যাস্টর অয়েল চোখের পাতায় লাগিয়ে নিন, যাতে অয়েল ভালো করে শুষে নিতে পারে আপনার চোখের পাতার ত্বক। সকালে ভালো মতো চোখের পাপড়ি ধুয়ে ফেলুন। 


পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার :
চোখের পাপড়ির আকার বড় করার জন্য রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে মাশকারার ব্রাশে পেট্রোলিয়াম জেলি মেখে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে রাখুন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। 
লেবুর খোসার ব্যবহার :
চোখের পাপড়ি বড় করার জন্য লেবুর খোসার ব্যবহার করা যায়। সামান্য অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েলে লেবুর খোসা দিয়ে তা গরম করুন। ৩-৪ বার গরম করুন এবং লক্ষ্য রাঙ্খুন তেল যেনো ফুটে না যায়। এই তেলটি মাশকারা ব্রাশের সাহায্যে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে নিন। পুরো রাত এভাবে রেখে সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। 

অলিভ অয়েলের ব্যবহার :
একটি পুরাতন মাশকারার ব্রাশ পরিষ্কার করে নিন। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার সময় মাশকারার ব্রাশ দিয়ে অলিভ অয়েলে ডুবিয়ে মাশকারা দেয়ার মতো চোখের পাপড়িতে লাগান। সকালে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে ২-৩ মাসের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন । একই রূপে ক্যাস্টর অয়েল ও আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারবেন। 
এছাড়া
চুল বৃদ্ধির জন্য চুল সঠিকভাবে এবং নিয়মিত আঁচড়ানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি চোখের পাপড়িও বৃদ্ধি সম্ভব। নিয়মিত চোখের পাপড়ি আঁচড়াবেন।

অতিরিক্ত মাত্রায় আইশ্যাডো কালার ব্যবহার করবেন না। এতে চোখের পাপড়ির ক্ষতি হয়।
ভিটামিন ‘ই’ চোখের পাপড়ি বড় করতেও সাহায্য করে।
তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট 

Thursday, May 24, 2018

thumbnail

ব্রণ এর দাগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন?

ব্রণ ত্বক থেকে চলে যাওয়ার পরেও তার ছাপ ছেড়ে যায় আমাদের ত্বকে যা ত্বককে  করে তোলে জৌলুসহীন ও অমসৃণ.
এগুলি থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপকারী খুব সহজ  টোটকা তৈরী করে ব্যবহার করে নিন, নিম্ন্নলিখিত উপায়ে...

আমাদের এই ব্লগ পোস্ট টি ফলো করুন আর মুক্তি পান ব্রোনোর ছাপ থেকে ... ঘরোয়া টোটকা 

পদ্ধতি- ১)  

১ চামচ টক দই, ১ চামচ মুলোর রস একসাথে মিশিয়ে নিন ,এবার তুলো নিন এবং ওই রসের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে  দাগের জায়গা গুলিতে ভালো করে লাগিয়ে দিন. এইভাবে ১৫ মিনিটস বসে থাকুন . তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন. সপ্তাহে ২-৩ দিন.করতে থাকুন এটি. এই পদ্ধতি আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং দাগ হীন করে তুলবে. 

পদ্ধতি- ২ )  
১ চামচ ধনেপাতার রস নেবেন, আর এক চামচ হলুদ নেবেন শুধু! এবার এই দুটি কে ভালো করে মিশিয়ে নিন. এবার এই মিশ্রণ টিকে ভালো করে গালের দাগ এর ওপর লাগান. ১৫ মিনিটের মতন রেখে দিন. তারপর ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন. সপ্তাহে ২-৩ দিন বার করতে পারেন তাহলে তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন. 

পদ্ধতি- ৩ ) 
১/২ কাপ জলে ১ চামচ বা একটি কর্পূর ফেলে সেই জল তুলো দিয়ে  ব্রনোর দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ১৫ ওর ২০ মিনিট.  ,প্রথম ১ মাস রোজ বা সপ্তাহে ৪-৫ দিন ব্যবহার করুন. উপকার পাবেন. 
Remove acne problem

পদ্ধতি- ৪) 
বাড়িতে যদি তুলসী পাতা থেকে থাকে তাহলে তুলে নিন ১৫ অথবা ২০ টি তুলসীর পাতা. কিছু তা জল নিন একটা পাত্রে তারপর জলটি গরম করুন এবং তার মধ্যে তুলসী পাতা গুলো দিয়ে একটু ফুটিয়ে নিন. এবার ওই গরম জলের ভাপ টা মুখে নিন. সপ্তাহে ২-৩ বার করলেই অনেক উপকার পাবেন. 

পদ্ধতি- ৫) 
এটি একটি সহজ পদ্ধতি.  ১চামচ বেকিং সোডা ও ২ চামচ নারকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ,ব্রনোর দাগের উপর লাগিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন,২-৩ দিন সপ্তাহে করুন, উপকার পাবেন.

পদ্ধতি- ৬)
একটি ডিম্ নিন. তার মধ্যে থেকে হলুদ অংশ বাদ দিয়ে দিন. এবার একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ টা নিন আর তার সাথে  ২ চামচ লেবুর রস. এবার ওই মিশ্রণ টি ভালো করে মুখের ওপর লাগিয়ে রাখুন.  প্রতি সপ্তাহে ২ - ৩ বার করুন ব্রণ দাগ মিলিয়ে যাবে. 

পদ্ধতি- ৭)
২ চামচ দই আর ২ চামচ থেঁতো শশা ভালো করে মিশিয়ে নিন ৫ মিনিট মুখের উপর লাগিয়ে রাখুন.এতে ব্রনোর দাগ কমে আসে. সপ্তাহে ৩-৪ দিন করতে পারেন.

পড়তে থাকুন আমাদের ব্লগ পোস্ট গুলি  আর পেতে থাকুন ফ্রি টিপস -

(Note - This is just a common information we will provide in this blog. plz check and concern doctor before use these home remedies in your skin.) 





 

Tuesday, March 20, 2018

thumbnail

মিলনের জন্য প্রেমিক পীড়াপীড়ি করলে যা করবেন


প্রথমেই বলে রাখা ভালো যে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি আমাদের সমাজে মোটেও ভালো কিছু হিসাবে পরিচিত নয়। কিন্তু হ্যাঁ, এমনটা হচ্ছে আর অহরহ হচ্ছে। খুব কম বয়সেই এখনকার ছেলেমেয়েরা যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে।এমন হতে পারে যে প্রেমিক আপনাকে যৌন মিলন করার জন্য পীড়াপীড়ি করছেন, সম্পর্ক ভেঙে ফেলবেন, কিংবা ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছেন। এক্ষেত্রে প্রথমেই ভেবে দেখুন, বিষয়টি কি আপনি চান? আপনিও কি তার সাথে যৌন সম্পর্কে জড়াতে চান? জীবন আপনার, সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনাকেই।তবে মনে রাখবেন, দীর্ঘমেয়াদি সুন্দর সম্পর্ক চাইলে বিয়ের আগে যৌনতা পরিহার করাই ভালো। আপনি হয়তো রাজি নন, কিন্তু প্রেমিক পীড়াপীড়ি করছে। এক্ষেত্রে যা করবেন-
– প্রথমে তার সাথে ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলুন। তাঁকে বুঝিয়ে বলুন যে বিয়ের আগে এমন সম্পর্কে যেতে আপনি রাজি নন। তিনি আপনাকে ভালোবেসে থাকলে অবশ্যই বিয়ে পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
– প্রেমিক মানেই তাঁকে চোখ বুজে ভরসা করতে হবে এমন কোনো আইন নেই। এই অন্ধ ভরসার কারণে প্রেমিকের সাথে কোনো বন্ধুর বাসায়, হোটেলে বা নির্জন স্থানে চলে যাবেন না যেন। নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনবেন তাহলে।
– প্রেমিকের সাথে সর্বদা পাবলিক প্লেসে দেখা করুন। তিনি সম্পর্ক ভাঙার হুমকি দিলে আপনিও পাল্টা হুমকি দিন যে তিনি জোর করলে আপনি আর যোগাযোগ রাখবেন না।
– শুধুমাত্র যৌনতাকে বৈধ করার জন্য গোপনে কাজী অফিসে বিয়ে করার মত বোকামি করতে যাবেন না একেবারেই।
– প্রেমিককে খুশি করতে নিজের ব্যক্তিগত ছবি দেয়ার শর্তেও রাজি হবেন না।
– এবং সবচাইতে বড় সত্য হচ্ছে, যৌন সম্পর্কে বাধা দেয়ায় প্রেমিক যদি আপনাকে ছেড়ে চলে যায়, তাহলে তাঁকে যেতে দিন। এটা জানবেন যে এই মানুষটি কখনোই আপনাকে ভালোবাসেনি। এবং তার থেকে দূরে থাকাই আপনার জন্য ভালো হবে।
একটাই জীবন, ভালো থাকুন। মনে রাখবেন, একটি ভুল সিদ্ধান্ত সারা জীবনের অশান্তি ডেকে আনতে পারে।

সূত্র: বিডি টিপস.কম
thumbnail

যে দিনটিতে নারীর সবচেয়ে বেশি যৌন আকাঙ্ক্ষায় ভুগেন


যৌনতা, গর্ভধারণ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে বর্তমান সময়ে নারীরা পেয়েছেন এক বিশ্বস্ত বন্ধু, যার নাম স্মার্টফোন। স্মার্টফোনের মাধ্যমে নারীর উর্বরতা পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি অ্যাপ হোল ‘গ্লো’। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত অ্যাপটি ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী দেড় লাখ নারীর গর্ভাধারণ সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ফার্টিলিটি সাইকেল সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে ৪৭ মিলিয়ন। এ ছাড়া অ্যাপটি গোটা বিশ্বের নারীদের যৌনজীবন সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করেছে। সেইসঙ্গে তারা দেখিয়েছে, কোন দিনটিতে নারীরা সেক্স সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন।
নিচের পয়েন্ট গুলোতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:-
১. বেশি বেশি সেক্স করতে পছন্দ করেন কানাডিয়ানরা। গ্লো ব্যবহারকারীদের গড় অপেক্ষা তারা ৪৫ শতাংশ বেশি সেক্স করেন।
২. কানাডা কিন্তু গর্ভধারণের সবচেয়ে উর্বর দেশ। গ্লো ব্যবহারকারী অপেক্ষা কানাডার নারীরা ২১ শতাংশ বেশি গর্ভধারণ করেন।
৩. অস্ট্রেলিয়ানরাও যৌনতায় এগিয়ে। গড় অপেক্ষা ৩৭ শতাংশ বেশি সেক্স করেন অস্ট্রেলিয়ার নারীরা।
৪. অস্ট্রেলিয়ান নারীরা গড় অপেক্ষা ১৪ শতাংশ বেশি গর্ভধারণ করেন।
৫. যৌনতার জন্যে আমেরিকাও আকর্ষণীয় দেশ। গড় অপেক্ষা ১৫ শতাংশ বেশি সেক্স করেন আমেরিকানরা।৬. যৌনজীবনটা একেবারেই উপভোগ্য নয় ল্যাটিন আমেরিকা। এদের যৌনতা গড়ের চেয়ে ৪ শতাংশ কম।৭. পিরিয়ডের ওপর ভিত্তি করে নারীর যৌন তৃপ্তি। মাসের প্রথম পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে তার মাসিক চক্র শুরু হয়। সাধারণত ৫ দিন পিরিয়ড থাকে। এই ৫ দিনে নারী সেক্সের প্রতি উদাসীন থাকে।
৮. পিরিয়ডের সময় নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষা এবং প্রাণশক্তি কম থাকে। প্রথম পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরের সপ্তাহ থেকেই তাদের আকাঙ্ক্ষা চূড়ান্তে পৌঁছে।
৯. পিরিয়ড শুরুর পর ১২তম দিনে নারীরা আবারো সেক্সে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।১০. ১২তম থেকে ১৪তম দিন পর্যন্ত নারীরা প্রতিদিনই সেক্স করতে আগ্রহী থাকেন। গ্লো-এর মতে, এই সময়টাই নারীদের যৌন আকাঙ্ক্ষার চূড়ান্ত সময়।১১. বিশেষ করে ১৩তম বা ১৪তম দিনে তাদের আকাঙ্ক্ষা চূড়ায় থাকতে পারে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এ সময় তাদের যে সেরা মানের সঙ্গম প্রয়োজন তা নয়। মূলত সেক্স করলেই তারা এ সময় চরম তৃপ্তি লাভ করেন।১২. এক মাসের শেষ পিরিয়ডের শেষ দিনটিতে আবারো তীব্র আকাঙ্ক্ষ অনুভ করেন নারীরা। গ্লো একে অর্গাজমের চূড়ান্ত সময় বলে তুলে ধরেছে।
১৩. প্রথম পিরিয়ডের পর ১৫তম এবং ১৬তম দিনে তারা অহরহ সেক্স করতে প্রস্তুত থাকে।
১৪. সেক্স করতে গিয়ে মন-মানসিকতা বিগড়ে গেছে এমন রিপোর্ট গ্লো-তে ৭০ লাখ ৬০ হাজারটি জমা পড়েছে।
১৫. স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যৌনতা করেন খুব কম সংখ্যক নারী।
১৬. গ্লো যারা ব্যবহার করেন তারা মোট ২০ লাখ বার প্রেমে পড়েছেন বলে রিপোর্ট করেছেন।১৭. যে নারীরা সেক্স করছেন, তারা সবাই তৃপ্ত নন। এদের এক-তৃতীয়াংশ সেক্স করতে পুরো আগ্রহ হারিয়েছেন। এর চেয়ে স্মার্টফোন তাদের কাছে বেশি উপভোগ্য।১৮. তবে দুই-তৃতীয়াংশের কাছে যৌনতাই জয়ী।
সূত্র: বিডি টিপস.কম

Wednesday, March 14, 2018

thumbnail

তরুনী মেয়েদের সাদা স্রাব কী, কেন হয় এবং প্রতিকারের উপায়

মেয়েদের এমন অনেক কথাই আছে, যা অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলেও ডাক্তার কে দেখাতে হবে ভেবে লুকিয়েই রাখা হয়। সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া তেমনি একটি বিষয়। মেয়েদের জীবনের কোনো না কোনো সময় তাদের কে এই সমস্যায় পড়তেই হয়। তাই কিছুটা জেনে রাখুন এখনি। বলা যায় না কখন আপনার জীবনে, আপনার বোন, মেয়ে অথবা বান্ধবী কিংবা আত্মীয় স্বজনের কাজে লেগে যায়। আগে জানতে হবে স্বাভাবিক সাদা স্রাব দেখতে কেমন হয়।
সাদা স্রাব – হলুদ , সাদা পিচ্ছিল ও আঠালো রঙের নিঃসরণ, যা শুকালে হালকা বাদামি-হলুদ রঙের বর্ণ ধারণ করে। যে সব মেয়েরা বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে, তাদের জন্য বলছি নিজের অজান্তে যদি কাপড়ে এমন দাগ পড়ে তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। এটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য হতে পারে। নারীর রিপ্রোডাক্টিভ এইজে (১৪-৫০) যোনি দেয়াল পুরু থাকে। যোনিতে এক ধরনের জীবাণু থাকে, যা যোনির জন্য স্বাভাবিক। সেটি যোনি থেকে নিয়মিত খসে পড়া কোষের গ্লাইকোজেন কে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। এটি যোনিতে পিচ্ছিল ভাব আনে। পাশাপাশি এর অম্লতাও ঠিক রাখে। ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে প্রজনন অঙ্গকে নিরাপদ রাখে।
কারণ গুলোঃ
০১. স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয়, বয়সন্ধিকালে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় ফলে নিঃসরণ-ও বেশি হয়, যৌন মিলনকালে, যৌন আবেগে, গর্ভাবস্থায়, শরীরের রাসায়নিক সমতা বজায় রাখতে এবং যোনির কোষ গুলোকে সচল রাখতে oestrogen হরমোনের প্রভাবে এটি নিঃসৃত হতে পারে, মেয়ে শিশুর জন্মের প্রথম ৭-১০ দিনের মধ্যে এটি হতে পারে। মায়ের শরীরে যদি অত্যধিক হরমোন থাকে তবেও এটি হতে পারে।, সন্তান ডেলিভারির প্রথম কয়েকদিন-ও সাদা স্রাব বেশি হতে পারে, হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন, অভুলেশন ( ডিম্বাণু নিঃসরণ কালে ) জন্ম বিরতিকরণ পিল ব্যবহার করলে। কাজেই প্রথমে ভয় না পেয়ে দেখুন ও বুঝে নিন আপনার সাদা স্রাব কি অত্যধিক কিনা বা স্বাভাবিক কিনা। তারপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।
০২. রোগ সম্বন্ধীয়ঃ
– মানসিক অশান্তি
– পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির অভাব
– বিভিন্ন ধরনের ক্রিমির সংক্রমণ
– অপরিচ্ছন্নতা এবং কাপড় সঠিক ভাবে না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখলে
– ইনফেকশন – যক্ষা, ছত্রাক (candida)
– জন্ম বিরতিকরণ পিল খাওয়া
– ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
– পেটের নিম্নভাগের প্রদাহ
– STD (sexually transmitted disease)
বয়ঃসন্ধির আগে এবং স্থায়ী ভাবে মাসিক বন্ধ হবার পরে নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। কারণ এ সময় সংক্রমণের আশংকা-ও বেশি থাকে। যদি স্রাবের সাথে রক্ত যায়, অথবা অতিরিক্ত নিঃসরণ হয় কিংবা অতি দুর্গন্ধ হয় তবে তা আশংকাজনক। বাচ্চা হওয়ার পর দুর্গন্ধ যুক্ত নিঃসরণ ( lochia ) এটাই নির্দেশ করে যে , জরায়ু তার গর্ভ ধারণের পূর্বাবস্থায় ফিরে যেতে পারেনি। ছত্রাকের সংক্রমণ হলে সাদা দুধের ছানার মত নিঃসরণ যেতে পারে। পাশাপাশি চুলকানো ভাব থাকলে এটি আরও বেশি ছত্রাকের প্রতি নির্দেশ করে।
রোগ নির্ণয়ঃ
– ওয়েট স্মিয়ার, গ্রাম স্টেইন, কালচার, প্যাপ স্মিয়ার, বায়োপসি
চিকিৎসাঃ
– যোনি পথ এবং আশেপাশের পরিবেশ দুটোই পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে সংক্রমণ না হয়।
– নিয়মিত শাক সবজি, ফল মূল ও পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
– পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং বিশ্রাম করতে হবে।
– জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ির কারণে হলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বন্ধ রাখতে হবে।
– যৌনাঙ্গের অভ্যন্তরীণ টিউমার থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
– ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া জনিত হলে সে অনুযায়ী পথ্য সেবন করতে হবে এবং আক্রান্ত স্থানে লাগাতে হবে।
– কড়া রোদ অথবা ইস্ত্রির মাধ্যমে কাপড় শুকাতে হবে যাতে জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে না পারে।
– যদি যৌন বাহিত হয়ে থাকে তবে সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত মিলনে বিরত থাকতে হবে এবং যে কোনো ঔষধ-ই স্বামীকেও ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে।
– রক্ত মিশ্রিত বা অতি দুর্গন্ধ যুক্ত হলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ে যে কোন প্রশ্ন থাকলে জানাতে পারেন !
সূত্র:  হোমিওপ্যাথিবিডি.কম
thumbnail

গনোরিয়া কি, কেন হয়, লক্ষণ ও প্রতিকার কি


গনোরিয়াঃ গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি যৌন রোগ৷ সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুপথ, মুখগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে৷ এই রোগ সাধারণত যৌনমিলন থেকে ছড়ায় এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে৷
কারণ:
এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হয়৷
 
গনোরিয়া রোগের লক্ষণঃ
পুরুষের ক্ষেত্রে
•    মূত্রনালিতে সংক্রমণ।
•    মূত্রনালি হতে পুঁজের মতো বের হয়।
•    প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
•    হাঁটু বা অন্যান্য গিঁটে ব্যথা করে, ফুলে ওঠে
•    প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় এবং এমনকি জটিল অবস্থায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
•    পুরুষত্বহীন হয়ে যেতে পারে৷

মহিলাদের ক্ষেত্রে
•    অনেকসময় মহিলাদের কোনও লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে৷
•    যোনিপথ আক্রান্ত হতে পারে৷
•    যোনিপথে এবং মূত্রনালিতে জ্বালা-পোড়া করে৷
•    পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়৷
•    তলপেটে ব্যথা হতে পারে৷
•    ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
•    বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে৷
চিকিৎসা:
লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে৷ নাহলে পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
 
প্রতিরোধ:
•    যৌনমিলনে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
•    মহিলাদের মাসিকের সময় পরিষ্কার কাপড় এবং প্যাড ব্যবহার করতে হবে৷
•    স্বামী বা স্ত্রী একজন অসুস্থ হলে দুজনেরই চিকিৎসা করাতে হবে৷
•    স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারী বা পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলন অনুচিত৷
•    যৌনমিলনে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বস্ততা জরুরি৷
পরামর্শ:
গনোরিয়ায় সংক্রমণ হওয়ার পর কোনও পুরুষ যদি তার স্ত্রী সঙ্গে সহবাস করে তবে স্ত্রীকেও চিকিৎসা করাতে হবে৷ গর্ভবতী মহিলাদের গনোরিয়া থাকলে প্রসবের আগেই চিকিৎসা করাতে হবে৷ অন্যথায় শিশুর চোখে সংক্রমণ হতে পারে এবং শিশু অন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
সূত্র:এনএইচডি.গোভ.বিডি

Friday, March 9, 2018

thumbnail

পুরুষ-মহিলাদের যৌন সমস্যা ও সাধারণ ঘরোয়া সমাধান


প্রতিটি মানুষেরই জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এই যৌবন মানুষের জীবনে আসে। এই সময়টাই মানুষের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সময়। এই সময়ে নারী ও পুরুষের দেহ-মনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এসময় একই সাথে নারী ও পুরুষদের নানা ধরনের শারীরিক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। যা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করে।
মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও নানা ধরনের যৌন সমস্যা রয়েছে। যেমন– প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশেন (সহবাসে স্থায়িত্বের অভাব), ইরেকশন ফেইলিউর (পুরুষাঙ্গের উত্থানে দুর্বলতা), পেনিট্রেশন ফেইলিউর (যৌনাঙ্গ ছেদনে অক্ষমতা) প্রভৃতি। ডাক্তারী বিজ্ঞানমতে, পুরুষদের এসব সমস্যার জন্য যেসব বিষয়কে দায়ী করা হয় সেগুলো হলো:
যার সাথে সহবাসে মিলিত হওয়া সেই মানুষটির সাথে বয়সের পার্থক্য
সহবাসকারী পার্টনারকে অপছন্দ (যেমন: দেহের ত্বক, মুখশ্রী, দেহ সৌষ্ঠব প্রভৃতি)
সিফিলিস
ডায়াবেটিস
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, টেনশন ও অবসাদ
যৌনরোগ বা এইডস ভীতি
নারীর ত্রুটিপূর্ণ যৌনাঙ্গ
প্রয়োজনীয় যৌন শিক্ষার অভাবদেহে সেক্স হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আমাদের মধ্যে অনেকেই লজ্জায় এসব বিষয়ে কাউকে কিছু না বলে নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। এ থেকে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করে। তাই এসব সমস্যা নিজের মধ্যে লুকিয়ে না রেখে বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, ভিডিআরএল, টিপিএইচ, এইচবিএসএজি ও রক্তের হরমোন এনালাইসিস এর মাধ্যমে এথেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।
এছাড়া আপনি চাইলে ঘরে বসেই এসব সমস্যা সমাধান করতে পারেন। এই পদ্ধতিকে বলা হয় হোম রেমেডি। হবে সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়। রোগের প্রাথমিক অবস্থায় হোম রেমেডি পদ্ধতি প্রয়োগ করে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব হয়। যেসকল পুরুষের যৌন সক্ষমতা কম তারা নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন।
পেঁয়াজ :-
আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজ খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। সহজলভ্য এই মসলাটি কাম উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে অনেকদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে এর ব্যবহার বিধি সম্পর্কে এখন সুস্পষ্ট তেমনকিছু জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা পেঁয়াজ বাটা মাখনের সাথে ভেজে মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, এটি খাওয়ার আগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়া যাবে না। এটি খেলে দ্রুত বীর্যপাত, ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন প্রভৃতি সমস্যার সমাধান হয়। এছাড়াও পেঁয়াসের রসের সাথে কালো খোসা সহ বিউলির ডালের গুড়া সাত দিন ভিজিয়ে রেখে রোদে শুকিয়ে সেটি নিয়মিত খেলে কাম-উত্তেজনা বজায় থাকে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় থাকে।
রসুন :
মসলা হিসেবে রসুন আমাদের সকলের কাছেই পরিচিত। ডাক্তারী ভাষায় রসুনকে বলা হয় গরীবের পেনিসিলিন। এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং Immune Booster হিসাবে কাজ করে। যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনার কারণে যৌন ক্ষমতা হারিয়ে গেলে রসুনের মাধ্যমে তা পুণরায় ফিরে পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খেলে হারানো যৌন অক্ষমতা ফিরে পাওয়া যায়। যারা খালি কাঁচা রুসন খেতে পারেন না তারা গমের আটার তৈরি রুটির সাথেও কাঁচা রসুন মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরে স্পার্ম তৈরির মাত্রা বেড়ে যায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে থাকে।
সূত্র: চাঁদপুর টাইমস স্বাস্থ্য ডেস্ক

Tuesday, February 27, 2018

thumbnail

ভালো থাকতে মনের যত্ন যেভাবে নিবেন


ভালো ও মন্দ—দুটি মিলিয়েই আমাদের পথচলা। কখনো কাঙ্ক্ষিত বস্তুটি পেয়ে যাই হাতের নাগালে, আবার কখনো হয় উল্টোটা। পরিবার কিংবা প্রিয় মানুষটির সঙ্গে দূরত্ব আবার পড়াশোনা, চাকরির নানা ঝক্কি–ঝামেলা। সব মিলিয়ে নিজের মনটাকে খুশি রাখাই হয়ে পড়ে দুরূহ। কিন্তু তাই বলে তো এভাবে বসে থাকাও সম্ভব নয়। কথায় আছে, ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’। ঠিক এমনটাই আমাদের বাস্তব জীবনেও। তাই ঝামেলা যতই আসুক, চেষ্টা করুন নিজেকে খুশি রাখার।
কিন্তু এত সব ঝামেলার মাঝে মন ভালো রাখা কি এতটাই সহজ?
এ জন্য মেনে চলতে পারেন বেশ কিছু উপায়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের প্রভাষক এবং কাউন্সেলর অ্যানি বাড়ৈ জানান, ‘মন খারাপ বা বিষণ্ন হয়ে পড়া একটি স্বাভাবিক মানসিক আবেগ। কিন্তু এটি তখনই ক্ষতিকর হয়ে পড়ে, যখন এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে পড়ে। এর ফলে কিন্তু ব্যক্তি বাইপোলার ডিসঅর্ডার, হীনম্মন্যতায় ভোগা—এ রকম বেশ কিছু মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।’ এ জন্যই প্রয়োজন মন খারাপের এই আবেগটিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সমাধান করা।
তিনি এ বিষয়ে বেশ কিছু পরামর্শ দেন—
১. সমস্যা মেনে নিন
কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তাকে স্বাভাবিকভাবেই নিন। হয়তো আপনি পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পারেননি কিংবা পরিবারের বিভিন্ন সংকট আপনার মানসিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সময়টুকুর মধ্যে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, কোনো সমস্যা চিরস্থায়ী নয়। আপনার এই সমস্যাগুলো একদিন সামান্য মনে হবে।
২. নিজের কাজে মনোযোগী থাকা
এসব দিনে কার কাজ করতে ভালো লাগে? এদিকে আবার বসে থাকলে নিজেই পিছিয়ে পড়ছেন। তাই নিজেকে সময় দিন এবং পরিকল্পনাগুলো গুছিয়ে ফেলুন। হয়তো শুরুতে আপনার আগ্রহ থাকবে না। তাই নিজেকে এই সময় দেওয়া। এরপর না হয় নিজ উদ্যোগে গুছিয়ে সেভাবে কাজ করা শুরু করুন।
৩. আবেগ প্রকাশ করুন প্রিয় কোনো বন্ধুর কাছে
আমরা হালকা বোধ করি যখন নিজের সমস্যার কথাগুলো কাউকে মন খুলে বলতে পারি। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর মধ্যেই কিন্তু অনেকটা মানসিক উদ্বেগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই কাছের কোনো বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করুন। এটাও খেয়াল রাখুন, যাঁর সঙ্গে আলোচনা করছেন, তিনি আসলেই আপনার বিশ্বাসের যোগ্য কি না।
৪. পছন্দের কাজগুলো
এত দিন ব্যস্ততার মধ্যে নিজের শখগুলো ভুলে ছিলেন। কটা দিন না হয় এই কাজগুলোর মাঝেই নিজেকে ব্যস্ত রাখলেন। বই পড়া, গান শোনা কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়া। বিশেষ করে একই পরিস্থিতির মধ্যে থাকার ফলে একঘেয়ে লাগে। তাই সময় করে কোথাও বেড়িয়ে পড়ুন এবং সেখানেই ধীরস্থিরভাবে পরিকল্পনা করুন।
৫. নিজের জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা
নদীর ওপারেই যেন সকল সুখ—আসলে নদীর দুপারেই সমস্যা থাকে। হয়তো কারও সমস্যা আর্থিক আবার কারও পারিবারিক। তাই চেষ্টা করুন নিজের জীবনের প্রতিটি বিষয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকার। অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে নিজের ছোটখাটো বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হোন।
৬. যোগব্যায়াম কিংবা মেডিটেশন
সপ্তাহে দু–তিন দিন চেষ্টা করুন মেডিটেশন করার। প্রতিদিন সকাল কিংবা সন্ধ্যায় কিছু সময় হাঁটতে পারেন। এতে শরীর ও মন—দুটিই ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে পরিমিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও পানীয় পান করুন।
৭. ভিন্ন কিছু করুন
প্রতিদিনের একই তালিকা থেকে কিছুদিন নিজেকে বিরত রাখুন। শুধু বিষণ্নতার ক্ষেত্রেই নয়, স্বাভাবিক কর্মব্যস্ততার মধ্যেও প্রয়োজন। ভিন্ন কিছু রান্না করা, ছবি আঁকা এমনকি নিজের ঘরটা না হয় নতুন করে সাজিয়ে নিলেন।
৮. কিছু বিষয় যেতে দিন
সব সময় ‘হতেই হবে’ এমন মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন। কিছু পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করুন। সব সময় প্রথম হয়েই যে আপনি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন এমন নয়, বরং হোঁচট খেয়েই দাঁড়াতে শিখুন।
তাই নিজেকে না হয় একটু সময় দিন! কিছুটা সময় প্রাণবন্ত থাকার!
শেয়ার বার্তা/ জে ভি